ডেস্ক নিউজ: রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, প্রাণিস্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিতকরণের মাধ্যমে টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্য (এসডিজি)-২০৩০ বাস্তবায়ন সম্ভব হবে।
‘প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ২০১৮’ উপলক্ষে শুক্রবার এক বাণীতে রাষ্ট্রপতি এ কথা বলেন। প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের উদ্যোগে আগামীকাল শনিবার থেকে ২৫ জানুয়ারি-২০১৮ পর্যন্ত ‘প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ২০১৮’ উদযাপিত হচ্ছে জেনে সন্তোষ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘সুস্থ, দক্ষ ও মেধাবী জাতি গঠনে প্রাণিজ আমিষ একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান’। এ ক্ষেত্রে জনসম্পৃক্ততা বৃদ্ধি এবং সেবা প্রদান করতে প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ পালন একটি সময়োপযোগী উদ্যোগ।
আবদুল হামিদ বাণীতে উল্লেখ করেন, প্রাণিসম্পদ সামগ্রিক কৃষির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ। খাদ্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনে প্রাণিসম্পদের রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ অবদান। প্রাণিজ আমিষের ক্রমবর্ধমান চাহিদা পূরণে বাংলাদেশ প্রশংসনীয় সাফল্য অর্জন করেছে। বর্তমানে দেশীয় উৎস থেকেই তরল দুধ, মাংস ও ডিমের চাহিদা পূরণ সম্ভব হচ্ছে।
তিনি বলেন, বিশ্বব্যাপী মানুষ ও পণ্য পরিবহন ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পাওয়ায় এবং অত্যধিক বাণিজ্যিক উৎপাদন ব্যবস্থার প্রেক্ষিতে প্রাণী থেকে প্রাণী এবং প্রাণী থেকে মানুষের মধ্যে বিভিন্ন রোগব্যাধির বিস্তার ঘটছে।
আবদুল হামিদ বলেন, ‘আমি আশা করি বিজ্ঞানসম্মত পশুপালন ব্যবস্থা অনুসরণের মাধ্যমে পুষ্টি নিরাপত্তা এবং নিরাপদ খাদ্য উৎপাদনে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনে সক্ষম হবে।’
রাষ্ট্রপতি বলেন, দেশের জনগোষ্ঠীর একটি বড় অংশ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে প্রাণিসম্পদ নির্ভর কর্মসংস্থানের সাথে যুক্ত। এ খাত এখন আর শুধু বেকারত্ব রোধের খাত নয়, বরং ক্রমবর্ধমান বিনিয়োগ ও প্রবৃদ্ধি এ খাতকে শিল্পেরও মর্যাদা দিয়েছে।
তিনি আশা করেন, গুণগত সেবা, ই-সার্ভিস, নিরাপদ প্রাণিজাত খাদ্য উৎপাদন এবং প্রযুক্তি ব্যবহারের পাশাপাশি আরো উন্নত প্রাণিস্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিতকরণের মাধ্যমে এসডিজি অভীষ্ঠ লক্ষ্য ২০৩০ বাস্তবায়ন সম্ভব হবে।
তিনি ‘প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ২০১৮’র সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।